• 16 May, 2024

৩১ বছরেও রাশেদ খান মেনন হত্যাচেষ্টার বিচার হয়নি

৩১ বছরেও রাশেদ খান মেনন হত্যাচেষ্টার বিচার হয়নি

১৯৯২ সালের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির তোপখানা কার্যালয়ের সামনে রাশেদ খান মেননকে হত্যার জন্য গুলি করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর ৩১ বছর চলে গেলেও রাশেদ খান মেনন হত্যাচেষ্টার বিচার হয়নি।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ত্রাসবিরোধী দিবস পালন করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নড়াইল জেলা শাখা। 

এ উপলক্ষে বিকেল ৪টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে বিক্ষোভ ও পতাকা মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ ও পতাকা মিছিলটি শহর অতিক্রম করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে সমাবেশে রাশেদ খান মেননের হত্যাচেষ্টার দ্রুত বিচার দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেনদ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।  

এ সময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিককালে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক বাংলাদেশের রাজনীততে নগ্ন হস্তক্ষেপ ও বিএনপি জামাতের দেশবিরোধী  ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।  

এদিকে ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৯২ সালের ১৭ আগস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির তোপখানা কার্যালয়ের সামনে রাশেদ খান মেননকে হত্যার জন্য গুলি করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও পরে সিএমএইচ-এ তার চিকিৎসা ও অপারেশনের পর তাকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে কিংস কলেজ হাসপাতালে অপারেশনের পর প্রথমে লন্ডনে ও পরে ব্যাংককে অস্ত্রপচারের পর তিনি ১৯৯৩-এর ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন এবং আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, রাশেদ খান মেননের হত্যাচেষ্টার ৩১ বছরেও তার প্রকৃত তদন্ত ও বিচার হয়নি। পার্টির তরফ থেকে এই হত্যাচেষ্টার পেছনে সে সময় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাত ছিল বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ একটি দায়সারা তদন্ত করে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।

পরে পার্টির তরফ থেকে পুনঃতদন্তের দাবির প্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। রাশেদ খান মেননের হত্যাচেষ্টায় সারাদেশে সৃষ্ট তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিক্ষোভের মুখে সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপি সরকার রাশেদ খান মেননের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার কথা প্রচার করলেও পরিবার ও পার্টির সহকর্মীদের উদ্যোগেই তার চিকিৎসা হয় এবং এ কারণে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে তাকে তার বাড়ি বিক্রি করতে হয়।

উল্লেখ্য, রাশেদ খান মেননকে হত্যাচেষ্টার পর থেকে প্রতিবছর ওয়ার্কার্স পার্টি এই দিনটিকে সন্ত্রাস বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।