• 29 Apr, 2024

ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

পরীক্ষার ফলাফলে ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবসময় আমাদের শুনতে হয়- জেন্ডার ইকুয়ালিটি। এখন তো দেখি উল্টো হচ্ছে, ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবারই দেখি মেয়েদের পাসের হার বেড়ে যাচ্ছে। এখন ছেলেদের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


এইচএসসিতে ছাত্রীদের পাসের হার বেশি- এটার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শুধুমাত্র পড়ে পাস করলে হবে না, সেটা অর্থবহ হতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট হতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। ছবি: পিএমও
দুপুর ২টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় একই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

ফলপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে খুব সহজেই ফলাফল জানতে পারবেন। http://www.educationboardresults.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার ফল দেখা যাবে।

এছাড়া মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার  ফল জানতে HSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে বোর্ডে প্রথম তিন অক্ষর লিখে আরও একটি স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখতে হবে। এরপর আরও একটি স্পেস দিয় পাসের সন লিখতে হবে। এরপর পাঠাতে হবে ১৬২২২ এই নম্বরে।

গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী।

ইত্তেফাক/এসকে