• 17 May, 2024

ডায়াবেটিক কর্নার চালু করল স্বপ্ন

ডায়াবেটিক কর্নার চালু করল স্বপ্ন

ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করতে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ‘ডায়াবেটিক কর্নার’ নামে একটি নতুন সেবা চালু করেছে দেশের অন্যতম রিটেইল চেইনশপ স্বপ্ন।

ডায়াবেটিস রোগীরা যাতে সহজেই নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্য সেবা পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে স্বপ্ন এ অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে গুলশান ১, গুলশান ২, বনানী ও বসুন্ধরা এলাকার সব আউটলেটে গ্রাহকরা ‘ডায়াবেটিক কর্নার’ এর সুবিধা পাবেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে স্বপ্নের সব আউটলেটে মিলবে এ সেবা।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় স্বপ্নের গুলশান ১ আউটলেটে গ্রাহকদের জন্য এ ‘ডায়াবেটিক কর্নার’ উদ্বোধন করেন অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (এসিআই) লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা।

এ সময় স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির, বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভীর খান, হেড অব মার্কেটিং মাহাদী ফয়সালসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা বলেন, ডায়াবেটিক একটি অসুখ যেটা বার্ধক্যে আসে। ডায়াবেটিক রোগীরা যদি নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে জীবনযাপন করতে পারেন তাহলে অনেক ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদর জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজে পাওয়া উচিত। আমি নিজে একজন ডায়াবেটিস রোগী। আমি জানি যে, কতটা সময় লাগে এই ডায়াবেটিসের খাবার কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে নিতে। তাই এই ডায়াবেটিস কর্নারটি করা। শুধু এসিআই নয়, সব কোম্পানির পণ্য থাকবে এখানে। ক্রেতারা তাদের চাহিদা ও পছন্দমতো এখান থেকে বেছে নিতে পারবেন।

স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, স্বপ্নের ডায়বেটিক কর্নার আমাদের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা স্যারের আইডিয়া। স্যার আমাকে একদিন বললেন এটা অনেকের দাবি। আপনি করেন। যারা ডায়বেটিক এবং যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা অনেকেই খাবারে শর্করা বা চিনির পরিমাণের ব্যাপারে সচেতন। আমাদের ডায়বেটিক  কর্নারে চাল, সুইটেনার, চা, দুধ, মল্ট ড্রিংকস, চকলেট, কুকিসসহ বিভিন্ন ডায়বেটিস বান্ধব খাবারের আইটেম ছাড়াও থাকছে ব্লাড প্রেসার মেশিন, রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করার মেশিন, স্ট্রিপ ইত্যাদি। ইতোমধ্যে সবমহলে ডায়বেটিক কর্নার যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে।

স্বপ্নের বিজনেস ডিরেক্টর সোহেল তানভীর খান বলেন, দেশে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের ডায়াবেটিক হয়েছে। এই সংখ্যা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। ডায়াবেটিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তাদের জন্য যেসব পণ্য বিশেষভাবে প্রয়োজন সেগুলো তাদের নাগালে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত। আশা করি, ভবিষ্যতে আমরা আরো নতুন নতুন পণ্যের সম্ভার নিয়ে হাজির হতে পারব।