ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে গত ৮ দিন ধরে অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের এ হামলায় সেখানে অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে।
সেই ধসে পড়া একটি ভবনে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন কয়েকজন মানুষ। তারা দেখতে পেয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা মৃত মায়ের দুধ পান করছে ১ মাস বয়সী এক শিশু।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই জানিয়েছে, ওই শিশুটির নাম ইয়ামেন।
শিশুটির চাচা আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি গাজায় পানি সরবরাহ করেন। গত বুধবার (১১ অক্টোবর) কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেন ইসরায়েলের বিমান হামলায় তার পরিবারের তিন তলা ভবন ধসে পড়েছে। দ্রুত ভবনের কাছে সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার ভাতিজা মৃত মায়ের দুধ পান করছিল।
ভয়াবহ সেই হামলার পরের দিন মিডেল ইস্ট আইকে আহমেদ বলেছিলেন, ‘ইয়ামেনের মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তাকে গতকাল হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। তার বয়স মাত্র এক মাস ছিল। যখন বিমান হামলা চালানো হয় তখন সে দুধ পান করছিল। তাদের উদ্ধার করতে সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছিল।’
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সেই ভয়াবহ বিমান হামলায় আহমেদ তার পুরো পরিবারকে হারিয়েছেন। তার স্ত্রী, চার সন্তান, ভাতিজা, ভাবী সবাই নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রাজধানীর সড়কে দাপটের সঙ্গেই চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। দিনে গলিপথগুলোতে এসব রিকশা চলাচল করে বেশি। আর রাত হলেই গলিপথ ছেড়ে রাজপথ দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে বিভিন্ন সময় এসব রিকশা চলাচল বন্ধের দাবি উঠলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। এবার খোদ সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব রিকশার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও অবাধে চলছে এসব যান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।