এদিকে বছর খানেক আগে হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে হেফাজতে তার মৃত্যু হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আন্দোলনে মৃত্যু হয় অনেক মানুষের।
ইরানে প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ও নারীদের হিজাব এবং লম্বা ঢিলেঢালা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। যারা এই আইন না মানবেন তাদের জন্য বর্তমানে ১০ দিন থেকে দুমাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া সর্বচ্চ ১০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা দিতে হয়। এবার সেই শাস্তিই আরও কঠোর করতে যাচ্ছে ইরান সরকার।
গত বুধবার দেশটির পার্লামেন্টের সদস্যরা ১৫২-৩৪ ভোটে ‘হিজাব অ্যান্ড চ্যাস্টিটি বিল’ পাশ করেছেন। পাঁচ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৩৬৫১ থেকে ৭৩০২ ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কেউ যদি নগ্নতাকে প্রশ্রয় দেন, কিংবা সংবাদমাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যমে হিজাব নিয়ে কটুক্তি করেন, তাদেরও মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে।
এছাড়া কোনও গাড়িতে নারী চালক বা যাত্রী হিজাব ছাড়া বা অশালীন পোশাক পরে উঠলে সেই গাড়ির মালিককেও আনা হবে এ আইনের আওতায়। অনেকে মিলে সংগঠিত হয়ে পোশাকবিধির বিরোধিতা করলেও ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।