‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশ ভৌগোলিক সীমারেখায় অত্যন্ত ছোট, কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে বড়। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের পরিবেশ এবং সবকিছু পরিকল্পিতভাবে হওয়া উচিত।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরীবাগে মন্ত্রীর বাসভবনে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতিসংঘের উন্নয়ন সমন্বয়ক কর্মকর্তা ও কৌশলগত পরিকল্পনাকারী লুইস বারবার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলমান অর্থবছরে দেশের ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়, আরও অর্থায়ন প্রয়োজন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জলবায়ুর ক্ষতির টাকা কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা পাবে তা নিয়ে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার উপায়, অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে জাতিসংঘ। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অ্যাডভোকেসি, বন্যা মোকাবিলা, কমিউনিটি এডাপটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
বৈঠকে জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং প্লাস্টিক দূষণের মতো গুরুতর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়। লুইস এবং সাবের হোসেন পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশ ভৌগোলিক সীমারেখায় অত্যন্ত ছোট, কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে বড়। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের পরিবেশ এবং সবকিছু পরিকল্পিতভাবে হওয়া উচিত।
রাজধানীর সড়কে দাপটের সঙ্গেই চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। দিনে গলিপথগুলোতে এসব রিকশা চলাচল করে বেশি। আর রাত হলেই গলিপথ ছেড়ে রাজপথ দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে বিভিন্ন সময় এসব রিকশা চলাচল বন্ধের দাবি উঠলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। এবার খোদ সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব রিকশার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও অবাধে চলছে এসব যান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নাগরিকদের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।