৩০০ আসনে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োজিত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চিঠিটি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান। এর আগে গত ২১ নভেম্বর আড়াই হাজারের বেশি নির্বাহী হাকিম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনি কাজে এত সংখ্যক হাকিম নিয়োগ করা হলে, অন্য কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ইসি। আগে প্রতি তিনটি ইউনিয়নের জন্য একজন, দুর্গম (পার্বত্য এলাকাসহ) ও দূরবর্তী প্রতি দুটি ইউনিয়নের জন্য একজন; প্রতি পৌরসভার জন্য তিনজন, তবে বৃহৎ পৌরসভার ক্ষেত্রে চারজন; সিটি করপোরেশনের প্রতি চার থেকে পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একজন, তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন নির্বাহী হাকিম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন।
সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখন প্রতি উপজেলায় একজন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় দুজন; জেলা সদরের ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে দুজন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন; চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন; খুলনা সিটিতে ছয়জন; গাজীপুর সিটিতে চারজন, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে নির্বাহী হাকিম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী হাকিম নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাহী হাকিমরা দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা হাকিমরা (জেলা প্রশাসক) ইসি নির্ধারিত সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রত্যেক জেলায়, জেলা হাকিম অধীন ১/২ জন নির্বাহী হাকিম অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণের কয়েকদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল, স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী হাকিম নিয়োজিত করা হবে বিধায় ওই সময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত নির্বাহী হাকিমের সংখ্যা হ্রাস করার প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া মোবাইল, স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নির্বাহী হাকিম নিয়োগ ছাড়াও ভোট গ্রহণের কয়েকদিন পূর্ব হতে ভোট গ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক নির্বাহী হাকিম নির্বাচনি এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।