বার্সেলোনার হয়ে একসঙ্গে দীর্ঘদিন মাঠ মাতিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, বুসকেটস ও জর্দি আলবারা। সেই ২০২০ সালের আগস্টে কাতালান ক্লাবটির হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন তারা। প্রায় চার বছরের মাথায় আবারও তাদের পুনর্মিলন হলো।
গত মৌসুমে মেসির পর মায়ামিতে নাম লিখিয়েছিলেন বুসকেটস ও জর্দি আলবা। বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে পথচলা শুরু হলো আরেক তারকা সুয়ারেজের। চার তারকার পুনর্মিলনটা জয়ে রাঙাল মায়ামি।
মেসির সুবাদে ইন্টার মায়ামির ভক্তদের সংখ্যা এখন নেহায়েত কম না। লাইভ খেলা দেখার সুযোগ না থাকলেও অন্তত খোঁজ রাখতে ভুল করেন না অনেকেই। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচেই ড্র কিংবা হার দিয়েই শেষ করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিকে। তবে হতাশা ভুলে এবার মেজর লিগ সকারে শুভসূচনা পেয়েছে ক্লাবটি।
বৃহস্পতিবার মৌসুমের প্রথম ম্যাচে সল্ট লেককে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। ঘরের মাঠ চেস স্টেডিয়ামে রবার্ট টেইলর প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে গোল করেন ডিয়েগো গোমেজ। দুটি গোলেই অবদান ছিল মেসির।
সল্ট লেকের বিপক্ষে মায়ামির শুরুর একাদশেই ছিলেন মেসি-সুয়ারেজ। বল দখলে শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল মায়ামির। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে পাওয়া মেসির পাস আড়াআড়িভাবে শট নেন রবার্ট টেইলর। তার নিচু শট আটকাতে পারেননি সল্ট লেকের গোলরক্ষক। এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মায়ামি।
দ্বিতীয় গোলটি আসে ম্যাচের ৮৩ তম মিনিটে। এবার মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে সুয়ারেজের পায়ে দেন মেসি, সেখানে সুয়ারেজ দেন গোমেজকে। প্যারাগুয়ের এই মিডফিল্ডার সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন। তবে ম্যাচের ১৬ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আরেকটু হলেই গোল পেয়ে যেতেন মেসি। সল্ট লেক পোস্ট ঘেঁষে এক ডিফেন্ডারকে দাঁড় করানোয় রক্ষা। মেসির দুর্দান্ত বাঁকানো শট সেই ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত গোলের জয় নিয়েই মৌসুমের শুরু করল ইন্টার মায়ামি।
ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরি বাংলাদেশের হয়ে খেলার গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। এমনকি হামজা ও তার পরিবারেরও আগ্রহ রয়েছে। সেই আগ্রহ এবার বাস্তবে রূপান্তর হওয়ার প্রথম ধাপ পাসপোর্ট করা। হামজা ও তার মা লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন গতকাল (মঙ্গলবার)। তবে নানা বিড়ম্বনায় পাসপোর্টের আবেদন করতে পারেননি বলে ফুটবলসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কিলিয়ান এমবাপে ক্লাব ছাড়ছেন, সেই ঘোষণা দিয়েছেন নিজেই। কথা ছিল তুলুসের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে বিদায় সংবর্ধনা থাকবে ফ্রেঞ্চ এই তারকার জন্য। কিন্তু যদিও মাঠে তা দেখা যায়নি। পিএসজিও ম্যাচ জিতে আসতে পারেনি। ঘরের মাঠে নিজের শেষ ম্যাচটা হার দিয়েই শেষ করতে হলো কিলিয়ান এমবাপেকে।