• 09 May, 2024

নড়াইল সদর থানার ওসি বদলি

নড়াইল সদর থানার ওসি বদলি

নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবিরকে বদলি করা হয়েছে।

নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিশওকত কবিরকে বদলি করা হয়েছে।শনিবার (০২ জুলাইরাত ১১টায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয় থেকে তাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবির কুমার রায় বলেনশনিবার রাত ১১টার দিকে বদলি সংক্রান্ত ম্যাসেজ পেয়েছি।খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের আদেশে সদর থানার ওসি শওকত কবিরকে খুলনার আরআরএফে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে মূলত প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্তমাহমুদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসিদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গতনড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায় গত ১৭ জুন রাতে তার নিজের ফেসবুক আইডিতে ভারতের বিতর্কিত বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে নিয়ে ইতিবাচক পোস্ট করেন।১৮ জুন কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে পোস্টটি মুছে ফেলার অনুরোধ করেন।রাহুল তার পোস্টটি না মুছে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান।এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।তারা কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটাসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।  সময় অন্তত ১০ জন পুলিশ-ছাত্র-জনতা আহত হন।

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান।জেলা প্রশাসক  পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা পরানোসহ শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পোড়ানো এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ১৮০ জনকে আসামি করে মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুরসালিন বাদী হয়ে গত ২৭ জুন মামলা করেন।এর মধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার আসামিকে পুলিশ আটক করা হয়েছে।