• 12 May, 2024

প্রিয় কুকুর ছানার মৃত্যু সইতে না পেরে আত্মহত্যা করল শিশুটি

প্রিয় কুকুর ছানার মৃত্যু সইতে না পেরে আত্মহত্যা করল শিশুটি

শিশুটির প্রতি মুহূর্তের খেলার সঙ্গী ছিল একটি পোষা কুকুর ছানা। গত তিন মাসের প্রত্যেকটি সময় তার কেটেছে কুকুর ছানাটির সঙ্গে। খেলাধুলা কিংবা দুষ্টুমি-খুনসুটির সঙ্গীও ছিল কুকুরটি। কিন্তু আচমকা সেই কুকুর ছানার মৃত্যুতে মুষড়ে পড়ে ১২ বছর বয়সী ওই শিশু। প্রিয় কুকুর ছানার মৃত্যু সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে শিশুটি।

শনিবার ভারতের হরিয়ানা প্রদেশে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হরিয়ানায় ১২ বছর বয়সী এক কন্যা শিশু আত্মহত্যা করেছে। বাড়িতে পোষা একটি কুকুর ছানা মারা যাওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই শিশুটি। শনিবার শিশুটির মা তাকে বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন তিনি।

ঘটনার তদন্তকারী পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েকদিন আগে শিশুটির একটি পোষা কুকুর ছানা মারা যায়। তখন থেকে সে অনেক চিন্তিত ছিল বলে পরিবার জানিয়েছে।

শিশুটির পরিবার বলেছে, মাত্র পাঁচ দিন আগে তাদের পোষা কুকুর ছানাটি মারা যায়। শিশুটির সঙ্গী ছিল এই কুকুর ছানাটি। যাকে তিন মাস ধরে লালন-পালন করেছে সে। তারপর থেকে সে অত্যন্ত শোকাহত ছিল। প্রিয় কুকুরের মৃত্যুতে মুষড়ে যায় সে। ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করছিল না। পরিবারের সদস্যরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারপরও তাকে স্বাভাবিক করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির এই ছাত্রী কুকুর ছানার শোকে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটির মা ও মেয়ের বোন কেনাকাটা করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে দোকানে যান। বাড়িতে একা থাকা শিশুটি শোকে ভেঙে পড়ে। প্রিয় সঙ্গী কুকুর ছানাকে ছাড়া চরম নিঃসঙ্গ বোধ করে সে। আর সেই সময়ই তার জীবন শেষ করে দেওয়ার মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেয় সে।

মেয়ের শেষ দিনগুলোর কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা। পোষা প্রাণীর প্রতি মেয়ের ভালোবাসা কতটা গভীর ছিল এবং পোষ্য কুকুর ছানার মৃত্যুতে নেমে আসা চরম শোক কীভাবে তার মেয়েকে শেষ করে দিল সেসব স্মরণ করেন তিনি।

শিশুটির মা বলেন, ‘‘তার মেয়ে গত ৩ মাস ধরে কুকুর ছানাটি লালন-পালন করছিল। ৫ দিন আগে ছানাটি মারা যাওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয় সে। আমি বাইরে সবজি কিনতে গিয়েছিলাম, তখন প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে দ্রুত বাড়িতে চলে আসি। তারা জানায়, আমার মেয়ে মারা গেছে।’’