• 15 May, 2024

গাজায় শত শত ‘২০০০ পাউন্ড বোমা’ ফেলেছে ইসরায়েল

গাজায় শত শত ‘২০০০ পাউন্ড বোমা’ ফেলেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান অভিযানের প্রথম মাসে শতাধিক ২০০০ পাউন্ড বোমা ফেলেছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। গাজার বিভিন্ন এলাকার স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিনথেটিক এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে সিএনএনকে।

প্রসঙ্গত, ২০০০ পাউন্ড বোমার ওজন-আকৃতি বিশাল এবং এটি ব্যাপক প্রানঘাতী বিস্ফোরক। এক একটি বোমার ওজন ২০০০ পাউন্ড বা ৯০৯ কেজির বেশি। যে এলাকায় এই বোমাটি ফেলা হয়, তার চারপাশের ১ হাজার ফুট দূরত্বের মধ্যে অবস্থানকারী লোকজনকে এটি নিহত এবং গুরুতর আহত করতে সক্ষম। ইসরায়েলি বাহিনীর গত দুই মাসের অভিযানে গাজায় যে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু  হয়েছে, তার বড় একটি কারণ এসব বোমা।

সাধারণত বড় ধরনের সামরিক অভিযানে ২০০০ পাউন্ড বোমা ব্যবহার করা হয়। গত দশকে ইরাক ও সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে এই বোমা ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ইসরায়েলি বাহিনীর সূত্রে সিএনএন জানতে পেরেছে, গাজায় যেসব বোমা ব্যবহার করেছে আইএএফ, সেগুলো মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত বোমাগুলোর তুলনায় চার গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক যুদ্ধবিরোধী প্রচারণা সংস্থা সিভিকের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা জন চ্যাপেল সিএনএনকে বলেন, ‘গাজার মতো একটি ব্যাপক ঘণবসতিপূর্ণ এলাকায় ২০০০ পাউন্ড বোমা ফেলা আর সেই উপত্যকাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার মধ্যে তেমন কোনো তফাত নেই। যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকাকে পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দশকের পর দশক লেগে যাবে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু,অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।

সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন।। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।

অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক