• 14 May, 2024

গোপালগঞ্জ সদরের ওসি সন্ত্রাস-মাদক নির্মূলে বদ্ধপরিকর!

গোপালগঞ্জ সদরের ওসি সন্ত্রাস-মাদক নির্মূলে বদ্ধপরিকর!

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের সদর থানায় যোগদানের সময় থেকেই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান তার সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে সদা-সর্বদা গোপালগঞ্জ সদর থানার বিভিন্ন এলাকার অনিয়ম, অপরাধ, মাদক কারবারি, ছিনতাই, জঙ্গি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।

 তার এমন কাজে গোপালগঞ্জ সদর থানার সর্বত্রের মানুষ বেশ উজ্জীবিত ও খুশি। মাদকাসক্ত ও মাদকদ্রব্য কারবারিতে গোপালগঞ্জ সদর থানা রয়েছেন জিরোর কোটায়।

পুলিশ প্রশাসনের সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তার রোধকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে ও গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব আল-বেলী আফিফা ,   নির্দেশনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন  অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান । তারই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জ সদর  থানায় মাদক-সন্ত্রাস নির্মূলে কঠোর ভূমিকায় কাজ করছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান ।স্থানীয় সুশীল সমাজ জানান,   অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমানের  নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ সদর   থানা পুলিশ বিচক্ষণতার সাথে প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় এ এলাকায় মাদকের হটস্পটখ্যাত এরিয়া থেকে মাদক কারবারি ও বখাটে সন্ত্রাসীরা পালিয়েছে।

সুশীল সমাজের আরো অনেকেই বলেন, গোপালগঞ্জ সদর থানার চৌকস পুলিশ অফিসারগণ ও পেশাদার পুলিশ সদস্যরা যদি তাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতা কাজে লাগিয়ে কাজ করে তাহলেই আমাদের গোপালগঞ্জ সদর থানা থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে।  অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান   থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক-সন্ত্রাস নির্মূলে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি এবং তার সকল পুলিশ সদস্যগণ।স্থানীয় জনগণ জানান, আমরা সাধারণ জনগণ ও পুলিশ মিলে একসঙ্গে কাজ করলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনা ও অপরাধ রোধ করা সম্ভব হবে। সন্ত্রাস- মাদকের বিরুদ্ধে কমিউনিটি পুলিশকে কাজে লাগাতে হবে।

সাথে সাথে গোপালগঞ্জ সদর থানার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তাহলেই গোপালগঞ্জ সদর থানা সহ সারাদেশ থেকে মাদক-সন্ত্রাস নির্মূল করতে সহজ হবে।এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর  থানার অফিসার ইনচার্জ  মোহাম্মদ আনিচুর রহমান    সাংবাদিকদের   বলেন, বর্তমান সরকার মাদক-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আপোষহীন ও দৃঢ়প্রত্যয়ী। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই আমরা মাদকের আগ্রাসন থেকে যুবসমাজকে মুক্ত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতিটি সেক্টরে ও মহল্লাগুলোতে কমিউনিটি পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণকে নিয়ে পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

পুলিশের কার্যক্রম কে বেগবান করার লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর থানার প্রতিটি ইউনিয়নে ও  পুলিশের সাথে সাপ্তাহিক বৈঠকের মাধ্যমে কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। থানার আওতাধীন সকল বিট ইনচার্জদের সাথে সরাসরি বৈঠকের মাধ্যমে তদারকি করে থাকি।এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী ধর্মীয় নেতাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে শান্তি-শৃঙ্খলায় রাখতে প্রতিনিয়ত বৈঠক করা হচ্ছে ।

গোপালগঞ্জ সদর  থানাকে মাদকমুক্ত করতে জনসচেতনতাও সর্বোচ্চ মাত্রায় বৃদ্ধি করেছি। দেশের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে পুরো জাতিকে মাদকের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হবে বিধায় এই এলাকার যুব সমাজকেও সচেতনামূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। নৈতিক শিক্ষা, মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশ এবং সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।